নব্বইয়ের দশকের ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ওমর সানী। দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে রুপালি জগতে তার পথচলা। তার অভিনীত অসংখ্য ব্যবসাসফল সিনেমা এখনো দর্শক মনে গেঁথে আছে।
১৯৬৯ সালের ৬ মে জন্মগ্রহণ করেন ওমর সানী। তার জন্ম, শৈশব, কৈশোর কেটেছে পুরাণ ঢাকার জিঞ্জিরা এবং কালীগঞ্জে। কিন্তু তার বাবার পৈতৃক নিবাস বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মহিশা শরিকল গ্রামে। গত ১৩ আগস্ট বাবার বংশের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে মহিশা শরিকল গ্রামে ছুটে গিয়েছিলেন ওমর সানী।
নাটোরের সেই শিক্ষিকার দাফন সম্পন্ন
সেখানে বসবাসরত আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সময় কাটান ওমর সানী। আর এ মুহূর্ত ফ্রেমবন্দি করতেও ভুল করেননি। তারই কিছু ছবি নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন এই অভিনেতা।
এ বিষয়ে ওমর সানী বলেন, ‘বাবার দেশ, বংশ, আত্মীয় বলে কথা। সবকিছু মিলিয়ে আমার সফর সঙ্গী হয়েছিলেন ‘ওমর সানী ফ্যান ক্লাব’-এর প্রেসিডেন্ট কিরন খান, সেক্রেটারি এস কে সুমন সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদী, আর হীরা।’
আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে বিদায় নেওয়া কষ্টের। তা উল্লেখ করে ওমর সানী বলেন, ‘বংশের মানুষের কাছ থেকে চলে আসাটা অনেক কষ্টের। বড় দাদা, চাচার কবর জিয়ারত করলাম। অনেকেই আছেন অনেকেই নেই- এইভাবেই জীবন বয়ে যায়। একদিন আমিও থাকব না, আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন।’
নাড়ির টানে বাবার ভিটায় গিয়ে ভক্তদের প্রশংসা কুড়াচ্ছেন ওমর সানী। মাসুদ আহমেদ লিখেছেন, ‘শেকড় বড়ই কঠিন অনুভব, অনুভূতির জায়গা।’ মোজোম্মেল হোসেন লিখেছেন, ‘রক্তের টান একটা বিশাল ব্যপার! এটাকে অস্বীকার করার উপায় নেই। খুব ভালো লাগলো।’
হাফিজ নামে একজন লিখেছেন, ‘আপনি আপনার গ্রামের বাড়ি ঘুরে বেড়াচ্ছেন তা দেখে ভালো লাগছে। আপনার প্রতি শ্রদ্ধা, সালাম রইলো।’ এমন অনেক মন্তব্য শোভা পাচ্ছে ওমর সানীর কমেন্ট বক্সে
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।